Sunday 13 March 2016

বিভিন্ন প্রকার ভিটামিনের উত্স ও ভূমিকা



বিভিন্ন প্রকার ভিটামিনের উত্স ও ভূমিকা

সুস্বাস্থ্য সকল সূখের মূল। আর সুস্বাস্থে্যর জন্য চাই সুষম খাদ্য গ্রহণ। সুষম খাদ্য গ্রহন করতে হলে, আমাদের কোন কোন খাদ্যে কী কী ভিটামিন আছে সে সম্পর্কে জানা উচিত।

ভিটামিন-এ
ভিটামিন-এ এর উত্স :-
গাজর, টমেটো, মিষ্টিকুমড়া, পুঁইশাক, লালশাক, বিটকপি, জামআলু, আম, কাঁঠাল, পেঁপে ওঅন্যান্য রঙিন শাক সবজি, মলামাছ, মাছের তেল, দুধ ইত্যাদি ভিটামিন-এ এর উত্স।
ভিটামিন-এ এর ভূমিকা :-
ভিটামিন-এ দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। এ রোগে শিশুদের চোখ লাল হয়ে ফুলে যায়, অল্প আলোতে চোখে কম দেখে পরবতীর্তে দৃষ্টিশক্তি একেবারে লোপ পেতে পারে। এর অভাবে ত্বকের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়।

ভিটামিন বি-১
ভিটামিন বি-১ এর উত্স :-
ঢেকিছাটা সিদ্ধ চাল, ডাল,আটা, শিমের বীচি, মটরশুটি, চিনা বাদাম, যকৃত ইত্যাদি ভিটামিন বি-১ এর উত্স।
ভিটামিন বি-১ এর ভূমিকা :-
ভিটামিন বি-১ এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়। শুরুতে স্নায়ুবিক দূর্বলতা, মানসিক ক্লান্তি, অবসাদ, খাওয়ায় অরুচি এবং দীর্ঘ দিন হলে পায়ে পানি আসে ও অবশ হয়। স্নায়ু তন্ত্র ক্ষতি গ্রস্ত হয়।

ভিটামিন বি-২
ভিটামিন বি-২ এর উত্স :-
সবুজ শাক সবজি, ডাল, দুধ, ডিম, যকৃত ইত্যাদি ভিটামিন বি-২ এর উত্স।
ভিটামিন বি-২ এর ভূমিকা :-
ভিটামিন বি-২ এর অভাবে দৈহিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। ঠোটের কোণে ও মুখের চারি দিকে ফেটে যায়। জিভ লাল হয়ে যায়। মুখে ঘা হয়,চোখের কর্ণিয়ার ক্ষতি হয়।
ভিটামিন বি-৩
ভিটামিন বি-৩ এর উত্স :-
মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও ঢেকিছাঁটা সিদ্ধ চাল ইত্যাদি ভিটামিন বি-৩এর উত্স।
ভিটামিন বি-৩ এর ভূমিকা :-
ভিটামিন বি-৩ এর অভাবে স্নায়ুতন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্রম ব্যহত হয় এবং পেলাগ্রা রোগ হয়। এই রোগে চামড়া কালো ও কুচকায়। জটিল হলে রক্তশূন্যতায় ওজন কমে যায়।

ভিটামিন বি-১২
ভিটামিন বি-১২ এর উত্স :-
মাছ, মাংস, ও ডিম ইত্যাদি ভিটামিন বি-১২ এর উত্স। এছাড়া ভিটামিন বি-১২ এর প্রধান উপাদান কোবাল্ট।
ভিটামিন বি-১২ এর ভূমিকা :-
ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে দেহে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা দেখা দেয়, অ্যানিমিয়া হয়। ফলে নিশ্চেষ্টতা, অবসাদ, উদাসীনতা দেখা দেয়, স্ট্যামিনা লোপ পায়।

ভিটামিন – সি
ভিটামিন সি এর উত্স :-
পেয়ারা, আমলকি, কাঁচা মরিচ, আমড়া, লেবু, কমলা লেবু, বাতাবী লেবু, কামরাঙ্গা, বিলম্বর, অরবরই, গাঢ় সবুজ শাক, বাঁধাকপি, টমেটো ইত্যাদি ভিটামিন সি এর উত্স।
ভিটামিন সি এর ভূমিকা :-
ভিটামিন সি এর অভাবে র্স্কাভি রোগ হয়। ফলে দাঁতের মাড়িনরম, গোড়া আলগা হয়। গ্রন্থি ফুলে যায়, পচন ধরে, মুখে ব্যাথা হয়। রক্ত জমাট বাধতে পারে না। ফলে রক্তক্ষরণ সহজে বন্ধ হয় না। আয়রণ ও প্রোটিন সহযোগে হিমোগ্লোবিন  গঠনে ভিটামিন সি অপরিহার্য।


ভিটামিন – ডি

ভিটামিন ডি এর উত্স :-
যকৃত, দুধ, দুগ্ধজাত দ্রব্য, ডিমের কুসুম, মাছের তেল, ভোজ্য তেল ও সূযের আলো ইত্যাদি ভিটামিন - ডি এর উত্স।
ভিটামিন ডি এর ভূমিকা :-
ভিটামিন ডি এর অভাবে রিকেট রোগ হয়। এ রোগে আক্রন্ত হলে অস্থির স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়। ফলে হাড় নরম ও বিকৃত হয়ে যায়।

ভিটামিন – ই
ভিটামিন ই এর উত্স :-
উদ্ভিজ্জ তেল সমুহ যেমন-পাম তেল, সয়াবীন তেল, বাদাম, সবুজ শাক সবজি যেমন-পালং শাক, পেয়াজ গাছের কলি ইত্যাদি ভিটামিন ই এর উত্স।
ভিটামিন ই এর ভূমিকা :-
ভিটামিন ই এর অভাবে বন্ধাত্ব্য দেখা দেয়। দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখে এবং ক্যান্সার রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন – কে
ভিটামিন কে এর উত্স :-
এই ভিটামিন সাধারণত দেহেই তৈরি হয় যকৃত ক্রিমি এই ভিটামিন তৈরি করে। সবুজ শাক সবজি, মটর শুঁটি, গ্রীন টি, ওটস ইত্যাদি ভিটামিন কে এর উত্স।
ভিটামিন কে এর ভূমিকা :-
ভিটামিন কে এর অভাবে রক্ত ক্ষরণ বন্ধ হয় না। এই ভিটামিন রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে। এছাড়া পিত্ত থলি থেকে পিত্ত নিঃসরণ করতে

No comments:

Post a Comment