Monday 14 March 2016

মোর হৃদয়ের আলো

  
                                                                      মোর হৃদয়েরআলো                                                                                                                               রাবেয়া মুনজুর
                                                               ডাহুক ডাকে ঘুম ভেঙে যায়
                                                               নিশী থম থম সবে নিদ্রায়।
                                                               মোর আখি আজ জেগে যে রয়
                                                               জানি না কার পানে চেয়ে কোন অজানায়?
                                                               রহিয়া রহিয়া হৃদয় মাঝে বাজিছে বেদনার সুর
                                                               সেই সুর আজি বাজিতে বাজিতে চলছে বহুদূর।
                                                               এ রাতে পৃথিবীকে ঢাকছে চন্দ্রের আলো
                                                               তবু আধারে , রাত আমাকে করেছে কালো
                                                               ও যে বসন্ত, ও যে এ হৃদয়ের আলো
                                                                ওকে ছাড়া তাই কেমনে বাঁচি বলো?
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                            


Sunday 13 March 2016

বিভিন্ন প্রকার ভিটামিনের উত্স ও ভূমিকা



বিভিন্ন প্রকার ভিটামিনের উত্স ও ভূমিকা

সুস্বাস্থ্য সকল সূখের মূল। আর সুস্বাস্থে্যর জন্য চাই সুষম খাদ্য গ্রহণ। সুষম খাদ্য গ্রহন করতে হলে, আমাদের কোন কোন খাদ্যে কী কী ভিটামিন আছে সে সম্পর্কে জানা উচিত।

ভিটামিন-এ
ভিটামিন-এ এর উত্স :-
গাজর, টমেটো, মিষ্টিকুমড়া, পুঁইশাক, লালশাক, বিটকপি, জামআলু, আম, কাঁঠাল, পেঁপে ওঅন্যান্য রঙিন শাক সবজি, মলামাছ, মাছের তেল, দুধ ইত্যাদি ভিটামিন-এ এর উত্স।
ভিটামিন-এ এর ভূমিকা :-
ভিটামিন-এ দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। এ রোগে শিশুদের চোখ লাল হয়ে ফুলে যায়, অল্প আলোতে চোখে কম দেখে পরবতীর্তে দৃষ্টিশক্তি একেবারে লোপ পেতে পারে। এর অভাবে ত্বকের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়।

ভিটামিন বি-১
ভিটামিন বি-১ এর উত্স :-
ঢেকিছাটা সিদ্ধ চাল, ডাল,আটা, শিমের বীচি, মটরশুটি, চিনা বাদাম, যকৃত ইত্যাদি ভিটামিন বি-১ এর উত্স।
ভিটামিন বি-১ এর ভূমিকা :-
ভিটামিন বি-১ এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়। শুরুতে স্নায়ুবিক দূর্বলতা, মানসিক ক্লান্তি, অবসাদ, খাওয়ায় অরুচি এবং দীর্ঘ দিন হলে পায়ে পানি আসে ও অবশ হয়। স্নায়ু তন্ত্র ক্ষতি গ্রস্ত হয়।

ভিটামিন বি-২
ভিটামিন বি-২ এর উত্স :-
সবুজ শাক সবজি, ডাল, দুধ, ডিম, যকৃত ইত্যাদি ভিটামিন বি-২ এর উত্স।
ভিটামিন বি-২ এর ভূমিকা :-
ভিটামিন বি-২ এর অভাবে দৈহিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। ঠোটের কোণে ও মুখের চারি দিকে ফেটে যায়। জিভ লাল হয়ে যায়। মুখে ঘা হয়,চোখের কর্ণিয়ার ক্ষতি হয়।
ভিটামিন বি-৩
ভিটামিন বি-৩ এর উত্স :-
মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও ঢেকিছাঁটা সিদ্ধ চাল ইত্যাদি ভিটামিন বি-৩এর উত্স।
ভিটামিন বি-৩ এর ভূমিকা :-
ভিটামিন বি-৩ এর অভাবে স্নায়ুতন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্রম ব্যহত হয় এবং পেলাগ্রা রোগ হয়। এই রোগে চামড়া কালো ও কুচকায়। জটিল হলে রক্তশূন্যতায় ওজন কমে যায়।

ভিটামিন বি-১২
ভিটামিন বি-১২ এর উত্স :-
মাছ, মাংস, ও ডিম ইত্যাদি ভিটামিন বি-১২ এর উত্স। এছাড়া ভিটামিন বি-১২ এর প্রধান উপাদান কোবাল্ট।
ভিটামিন বি-১২ এর ভূমিকা :-
ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে দেহে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা দেখা দেয়, অ্যানিমিয়া হয়। ফলে নিশ্চেষ্টতা, অবসাদ, উদাসীনতা দেখা দেয়, স্ট্যামিনা লোপ পায়।

ভিটামিন – সি
ভিটামিন সি এর উত্স :-
পেয়ারা, আমলকি, কাঁচা মরিচ, আমড়া, লেবু, কমলা লেবু, বাতাবী লেবু, কামরাঙ্গা, বিলম্বর, অরবরই, গাঢ় সবুজ শাক, বাঁধাকপি, টমেটো ইত্যাদি ভিটামিন সি এর উত্স।
ভিটামিন সি এর ভূমিকা :-
ভিটামিন সি এর অভাবে র্স্কাভি রোগ হয়। ফলে দাঁতের মাড়িনরম, গোড়া আলগা হয়। গ্রন্থি ফুলে যায়, পচন ধরে, মুখে ব্যাথা হয়। রক্ত জমাট বাধতে পারে না। ফলে রক্তক্ষরণ সহজে বন্ধ হয় না। আয়রণ ও প্রোটিন সহযোগে হিমোগ্লোবিন  গঠনে ভিটামিন সি অপরিহার্য।


ভিটামিন – ডি

ভিটামিন ডি এর উত্স :-
যকৃত, দুধ, দুগ্ধজাত দ্রব্য, ডিমের কুসুম, মাছের তেল, ভোজ্য তেল ও সূযের আলো ইত্যাদি ভিটামিন - ডি এর উত্স।
ভিটামিন ডি এর ভূমিকা :-
ভিটামিন ডি এর অভাবে রিকেট রোগ হয়। এ রোগে আক্রন্ত হলে অস্থির স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়। ফলে হাড় নরম ও বিকৃত হয়ে যায়।

ভিটামিন – ই
ভিটামিন ই এর উত্স :-
উদ্ভিজ্জ তেল সমুহ যেমন-পাম তেল, সয়াবীন তেল, বাদাম, সবুজ শাক সবজি যেমন-পালং শাক, পেয়াজ গাছের কলি ইত্যাদি ভিটামিন ই এর উত্স।
ভিটামিন ই এর ভূমিকা :-
ভিটামিন ই এর অভাবে বন্ধাত্ব্য দেখা দেয়। দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখে এবং ক্যান্সার রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন – কে
ভিটামিন কে এর উত্স :-
এই ভিটামিন সাধারণত দেহেই তৈরি হয় যকৃত ক্রিমি এই ভিটামিন তৈরি করে। সবুজ শাক সবজি, মটর শুঁটি, গ্রীন টি, ওটস ইত্যাদি ভিটামিন কে এর উত্স।
ভিটামিন কে এর ভূমিকা :-
ভিটামিন কে এর অভাবে রক্ত ক্ষরণ বন্ধ হয় না। এই ভিটামিন রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে। এছাড়া পিত্ত থলি থেকে পিত্ত নিঃসরণ করতে

থানকুনি পাতার রেসিপি



                                      থানকুনি পাতার রেসিপি
থানকুনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থানকুনি পাতা সব ধরনের পে‡Ui cxovi  মহৌষধ ভর্তা করে বা ঝোল করে খেলে বদহজম, ডায়রিয়া, আমাশয় ও পেটব্যথা দূর হয়
. থানকুনি পাতার ভর্তা
থানকুনি পাতা

উপকরণ :-
o       থানকুনি পাতা এক আটি
o       রসুন একটি
o       শুকনা মরিচ -
o       লবন
o       হলুদ / চা চামচ
o       শরিষার তেল টেবিল চামচ

ভর্তা তৈরির প্রনালী :-
o       থানকুনি পাতা বেছে ভালো করে ধুয়ে নিন।
o       রসুন খোসা ছাড়িয়ে নিন।
o       পরিমানমত লবন, রসুন, মরিচ , থানকুনি পাতা অল্প পানি দিয়ে পাটায় ভালো করে বেটে নিন।
o       কড়াইয়ে শরিষার তেল দিয়ে গরম হলে হদুল দিয়ে নাড়ুন।
o       এবার বাটা থানকুনি পাতা দিয়ে নড়তে থাকুন।
o       পানি শুকিয়ে একটু ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে গরম ভাতে পরিবেশন করুন।


২. থানকুনি পাতা ভাজি

http://easyonlineeducationbd.blogspot.com/
থানকুনি পাতা ভাজি

উপকরণ :-
o       থানকুনি পাতা ২ আটি
o       আলু ২(কুচি করে কাটা)
o       পেয়াজ কুচি ১ কাপ
o       কাঁচা মরিচ (ফালি করা)৪-৫ টি
o       লবন (পরিমান মত)
o       হলুদ (পরিমান মত)
o       তেল ২ টেবিল চামচ
রান্নার প্রনালী :-
o       প্রথমে থানকুনি পাতা বেছে ধুয়ে কুচি করে নিন।
o       আলু চিকন কুচি করে নিন।
o       এখন কড়াই এ তেল দিয়ে গরম হলে লবন, পেয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নড়ুন।
o       পেয়াজ একটু লাল হয়ে হলুদ দিয়ে নেড়ে আলু দিয়ে দিন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
o       আলূ একটু ভাজা ভাজা হলে থানকুনি পাতা দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার ঢেকে দিন।
o       পানি শুকিয়ে ভাজা ভাজ হলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

জাম আলুর ভর্তা




জাম আলুর ভর্তা
জাম আলু ভর্তার স্বাদই আলাদা। তাছাড়া এ আলুর পুষ্টি গুন সাদা আলুর চেয়ে বেশি। এটি শর্করা হলেও এতে আছে প্রচুর আয়রন। আর আমি আলু ভর্তায় যে উপকরণ ব্যবহার করেছি (যেমন- কাঁচা মরিচ, ধনিয়া পাতা, লেবুর খোসা)তাতে আছে ভিটামিন-সি। যা আমাদের দেহের জন্য প্রতিদিনই প্রয়োজন। কারন ভিটামিন সি অন্য ভিটামিনির মত শরীরে স্টোক থাকে না।

উপকরণ :-
o       জাম আলু
o       পোয়াজ স্লাইট(গোল গোল করে কাটা) করে কাটা
o       শুকনা মরিচ ও কাঁচা মরিচ
o       ধনিয়া পাতা
o       কাগজি লেবু
o       লবন
o  শরিষার তেল 


ভর্তা তৈরীর প্রনালী :-
 
o       আগে আলু ধুয়ে সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
o       শুকনা মরিচ ও পেয়াজ শরিষার তেলে ভেজে নিন।
o       এখন ধনিয়া পাতা, কাঁচা মরিচ ও কাগজি লেবুর খোসা চিকন কারে কুচি কারে নিন।
o       এবার পরিমান মত লবন ও সব উপকরন দিয়ে মেখে নিন।
o        শেষে শরিষার তেল দিয়ে আর একাবার ভালো করে মেখে পরিবেশন করুন। 


বত্তাশাকের রেসিপি





                        বত্তাশাকের রেসিপি
উপকরন ও পরিমান
বত্তা শাক –                    ১ কেজি
বুট/ ডাবলি/মটরশুটি স্বিদ্ধ-   ১ কাপ
আলু কিউব কারে কাটা-     ১/২ কাপ                     
পেয়াজ কুচি-                 ১কাপ
কাঁচা মরিচের ফালি-         ১২-১৫ টি         
আদার মিহি কুচি-            ১ চা চামচ
লবন-                         স্বাদ মতো
তৈল-                         পরিমান মতো
হলুদ-                         ১ চা চামচ

রান্নার প্রনালী

  •    প্রথমে বত্তা শাক সুন্দর করে বেছে নিন।

  •  শাক ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

  •   শাক ছোট ছোট করে কেটে নিন।

  •    মটরশুটি/ডাবলি(বুট) আগে স্বিদ্ধ কারে পানি ঝরিয়ে রাখুন।

  •    চুলায় কড়াই দিয়ে গরম হলে তেল দিন।

  •    তেল গরম হয়ে ফুটতে থাকলে প্রথমে আদা কুচি ও লবন দিন।

  •   এবার পেয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচের ফালি দিয়ে নাড়তে থাকুন।

  •     পেয়াজ সামান্য লাল হয়ে এলে আলু ও (স্বিদ্ধ)ডাবলি/মটরশুটি দিয়ে ৫ মিনিট নাড়তে থাকুন।

  •   এবার হলুদ দিন। একটু নেড়ে বত্তা শাক দিয়ে দিন।

  •     ৩-৪ মিনিট ঢেকে রান্না করুন।